8 February 2014


সকালে ঘুম থেকে উঠা আমার জন্য কষ্টকর হয়ে গেছে। প্রায় ভোরেই এখন আব্বু ডেকে উঠায়। এমন একটা কফ সিরাপ খাই যে ঘুম চলে আসে। এখনো কাশি থেকে মুক্তি পেলাম না। তবে এখন মনে হচ্ছে কাশিটা একটু কমেছে। নামাজের পরে মাশওয়ারা হল মাতুরাতের তালিমের। নাইমার ভাগে পড়লো ৬ সিফাতের মুজাকারা।কিন্তু আমি ওটা অকে বলতে ভুলে গেসিলাম সকালে। আমি বলেছি দুপুরের দিকে। ও তখন preparation নিয়ে নিল। জোহরের নামাজের পরে আব্দুল খালেক ভাই (রুপায়ন হাউজিং) এর আমাকে অনুরোধ করলো উনাদের গাস্থের আমলে আমাকে শরীক থাকার জন্য। মাগ্রিপের পরে বয়ান এর জন্য মুলত। আমি বললাম আসব ইনশাআল্লহ। দুপুরে খাওয়ার পরে আমার জেগে থাকাই দায় হয়ে গেলো। এত ঘুম আসছিল যে বলার মত না। আমি খাটে গিয়ে একটু ঘুমাই আর একটু উঠে যাই। পরে নাইমা নামাজ পড়ে নিলে ওকে নিয়ে মাস্তুরাতের তালিমের পয়েন্ট অর্থাৎ সিরাজউদ্দৌলা আঙ্কেলদের বাসায় নিয়ে গেলাম। আমি বাসায় এসে আবার ঝিমাতে লাগলাম। দুপুরে TUV-SUD এর জন্য আরো একটা brochure বানিয়ে দিলাম। যদিও বার বার রাসেল ভাই এর সাথে যোগাযোগ করে কোন সাড়া পাচ্ছি না।

 

মুহিতকে দুপুরে ফোন দিয়ে জানলাম ওর রুপায়ন বিল্ডিং এ টিউশনি আছে। ওকে থাকতে বললাম মাগরিবের বয়ানের সময়। ও তখন মহসিন হলে ছিল। কিছুক্ষণ পরেই চলে আসবে বলল। মাগরিবের আগ দিয়ে রুপায়নের দিকে যেতে গিয়ে দেখলাম মুহিত দাড়ায়ে আছে। আমাকে ফোন দিয়েছিল কিন্তু আমি ফোন বাসায় রেখে গেছিলাম। ওকে নিয়ে রুপায়নের নামাজ ঘরে গেলাম। মাগরিবের পরে বয়ান করলাম। আল্লহ পাকের মেহেরবানিতে সবাই খুব খুশি হল। অনুরোধ করলো আবার আসার জন্য। মুহিত নিজেও খুব খুশি হল। এরপর ওকে নিয়ে আসছিলাম। আজকে আমাকে চা না খাওয়ায়ে ছাড়বে না। আমি মনে মনে ভাবছিলাম ওকে কি খাওয়াতে পারি? পকেটে হাত দিয়ে দেখলাম কিছু টাকা আছে। নাইমার আর আমার ওষুধ কেনার টাকা দেবার পরে আরো ৫০/= ছিল পকেটে। স্বস্তি পেলাম। মুহিতকে শর্ত দিলাম, চা তোমার আর চায়ের সাথে টা- আমার দায়িত্বে। খালেকে হোটেলে বসলাম। ডাবল ডিম দেয়া মোগলাই এর অর্ডার দিলাম। মোগ্লাই খেতে খেতে মুহিতদের সাথে আলাপ হল নানা বিষয়ে। আমি অকে বুঝাতে চাইলাম, যে ওকে আমি আমার আঙ্গিকে গড়ে তুলতে চাই। যেন আমি চলে যাবার পরেও মুহিত আমার মত করে মেহনত করতে পারে। আর ওর আগ্রহ আছে এই বিষয়ে। আমরা খেয়ে হোতেল থেকে বেরিয়ে পড়লাম। গল্প করতে করতে আমাদের বাসা পর্যন্ত এসে আলাদা হয়ে গেলাম। বাসায় আস্তেই এশা’র আজান হয়ে গেল। নাইমা বলল, এখন এসে কি হবে? একেবারে এশা পড়েই আসতা। অবশ্য হাসি হাসি মুখেই বলেছে। খোচা দেয় নাই! নামাজ পড়ে তালিম করলাম। আমাদের তালিম এবং বয়ানে আব্দুল জব্বার সাহেবের বড় ছেলে, (যে কিনা বোবা) বসেছে। উনার উপস্থিতিতে আমার খুব অসহায় লাগে। বেচাকে ইশারা দিয়ে বুঝায়ে দেবার মত আমাদের মধ্যে কেউ নেই। আমার আশা আছে আমি বোবাদের ইশারা ভাষা ইনশাআল্লহ শিখে নিব। বোবাদের সাথে চিল্লা দেবার নিয়তও করেছি। বাসায় এসে দেখি আব্বু আম্মু রেডি হয়ে বসে আছে নঈম আঙ্কেলকে দেখতে যাবে। আমি এখন বসে আছি রিপোর্ট করব বলে। হায় কপাল! আর কতদিন এই রিপোর্ট এর ঝামেলা পহাতে হবে? শেষ করে ফেললেই হয়- অথচ আমাকে প্রতিনিয়ত আলসেমিতে পেয়ে বসে।

View shawon1982's Full Portfolio