নেড়ীকুত্তা

পুকুর ঘটে বসে ছিল

নেড়ীকুত্তার দন,

পাছায় লাথি দিয়ে বললাম

লেজ উঁচিয়ে চল।

ভীষণ জোরে লাথি খেয়ে

ডেকে ওঠে ঘেউ,

কুত্তা বলে ওদের কি

দাম দেবে না কেউ?

অ্যাঁ- কি আজব ব্যাপার

কুত্তা করে শব্দ,

লাথিগুতো খেয়ে আজ

হয়েছে কেমন জব্দ!

ভাগ্যিস, কুত্তা তো তাই

বলতে পারে না কথা,

নইলে বলতো লাথি খেলে

লাগে কেমন ব্যথা।

এমন কুত্তা হরহামেশাই

রাস্তা ঘাটে ঘোরে,

থেকে থেকে চিৎকার দেয়

ডাকে ভীষণ জোরে।

আহ! কি জ্বালা, দেখো

কুত্তার কি ঢং,

চলনে বলনে ঠিক যেন

সার্কাস পার্টির সং।

হায় হায় কি শুনছি,

কুত্তারও আছে মান,

সবার সামনে লাথি দিলে

হয় অপমান!

সাবধান! হুশিয়ার!! সাবধান!!!

পাগলা কুত্তা কেউ দেখলে,

মনের ভুলেও যেও না কেউ

ওদের আদর করতে।

পাগলা কুত্তা বোঝে না

আদরের কি দাম,

তাহলে কি আর ওদের

আদর করতে যেতাম?

নীচু জাত, কুত্তার জাত

কুত্তার মতই জন্ম,

মানুষের সাথে মেশামিশি

নয়ত অদের কম্ম!

ভাল খাবার কুত্তার পেটে

রোচে না কভু হায়,

বদহজম হলেই কুত্তা

ঘাস খেতে যায়।

ঠ্যাং উঁচিয়ে কুত্তা যখন

বেচন ক্রিয়া সারে,

ভালো চাও ত কেউ যেন

থেকো না তখন ধারে।

আরেকটি কর্মের কথা

কেম্নে বলি হায়!

রাস্তা ঘাটে হতে দেখলে

সবাই লজ্জা পায়!

কুত্তা নিয়ে নানান কথা

অনেকেই পায় ভয়,

এখন যে কবিতাটা

শেষ করতে হয়।

তবে কিন্তু একটা কথা

না বললেই নয়,

এই কবিতায় কুকুর কিন্তু

মুখ্য বিষয় নয়।

এটা আসলে ব্যঙ্গধর্মী

রূপক কবিতা,

কুকুরকে কেন্দ্রকরে

রচিত কথিকা।

বিধাতার সৃষ্টি অবলা জীব

কুকুরকে নিয়ে ভাই,

বিরূপ কোন মন্তব্য করার

ধৃষ্টতা আমার নাই।

এই সমাজে অনেক মানুষ

পাবে তুমি খুঁজলে,

যাদের মধ্যে মানুষ নয়

কুত্তার স্বভাব মেলে।

তবুও ওরা মনে করে

আমরা মানুষ উত্তম,

আকৃতিতে মানুষ হলেও

কুত্তার চেয়েও অধম।

মানুষ হয়েও যাদের স্বভাব

নেড়ীকুত্তার মত,

এই কবিতা ওদের জন্য

ধিক ওদের শত!

Author's Notes/Comments: 

1st December 2002

View shawon1982's Full Portfolio