১৫ জুলাই ২০২২

ফেসবুক এর ভেতরে কি কাঁঠাল এর চাষ করা সম্ভব? যদি হয় তাহলে আমাকে একটু বইলেন তো। ছাগলের উৎপাদন যত বাড়তে তত বেশী তো কাঁঠাল পাতার চাহিদা বাড়ার কথা। আর আমি সেই কাঁঠাল পাতা বেঁচে বড়লোক হবার জন্য সস্তা রাস্তা খুজতেসি আরকি। এখন তো বড়লোক হওয়া আর ‘সেলিব্রিটি’ হওয়া বেশ সস্তা দেখি। আজে বাজে অরুচিকর, কুরুচিকর কিছু করে ছেড়ে দিতে পারলেই হল। আর পায় কে? রাতারাতি একদম সেলিব্রিটি! নিজের ‘পাছা’ ঢেকে রাখার মত কাপড় না থাকুক, পপুলারিটি তো হইলো। ওইটাই বড় কথা। যত পপুলার তত ভিউ, এরপর আসতে আসতে আসবে টাকা। সোজা ফরমুলা! আমি তাই কাঁঠাল গাছ চাষাবাস করার কথা ভাবতেসি। মাঠে ময়দানে না ভাই। ফেসবুকে। ভার্চুয়াল ছাগলদের জন্য ভার্চুয়াল কাঁঠাল পাতা আর কি!

 

বাংলাদেশে ইদানিং ছাগলের উৎপাদন বেড়ে গেছে। এটা কিন্তু অবশ্যই ইতিবাচক একটা দিক। বাংলাদেশ এর অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে এসব ছাগল। এসব ছাগলরা আবার বিনোদন দিয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত। যার যেই বিষয়ে জ্ঞান নেই সেই বিষয়ে ক্রমাগত জ্ঞান দিয়ে যাচ্ছে। বাহ! ছাগল যখন জ্ঞানদাতা! এরা কাঁঠাল পাতা জাবর কাটে আর সুন্দর সুন্দর জ্ঞান বিতরন করেন ফেসবুক ওয়ালে এসে! আর তৃপ্তির ঢেকুর তোলেন। মনে মনে বলেন, বাহ মুই কি ‘বুদ্ধিবিচি’ হনু রে! এসব ছাগলের নিজেদের যেমন দুইটা (কম বা বেশীও হতে পারে) করে ‘বিচি’ থাকে তেমনি এদের বুদ্ধির মধ্যেও অনেক ক্ষুরধার বিচি থাকে। এদের সারা জীবনটাই বিচিময়।

 

এরা সবকিছুর মধ্যে ধর্ম খোঁজেন। ধর্মগ্রন্থের তর্জমা পড়ে মনে করেন অনেক কিছু বুঝে ফেলেছেন! ভাল তো, ভাল না? দুই লাইন বাংলা ইংরেজী পড়েই ইনারা ধর্মগ্রন্থের তাবত রহস্য ভেদ করে ফেলেন এবং সেই ব্যাপারে নানা রকমের ব্যাখ্যাও দিতে থাকেন। শাস্ত্র চর্চার আর বিদ্যা শেখার দরকার কি রে ভাই? ইউটিউব আছে না? ওখান থেকেই তো সব শিখে ফেলা যায়। স্কুল কলেক ভার্সিটি ধর্মশিক্ষা সব কিছু তুলে দেয়া হোক। শিক্ষকের দরকার কি রে ভাই? কিছু কাঁঠাল পাতা নিয়ে ইউটিউব খুলে বসলেই তো হয়!

 

 

কাজেই আসুন, আমরা বেশী করে করে কাঁঠাল গাছের চাষ করি। বুদ্ধি ধার দেই আর বিচিওয়ালা ছাগলগুলার ক্ষুরধার বুদ্ধির প্রসংসা করি। বাহবা দেই এসব ছাগলের বুদ্ধিচর্চাকে। তালি হবে ভাই, তালি! জোরসে! বেঁচে থাকুক জাবর কাটা ছাগলরা! 

View shawon1982's Full Portfolio