আগন্তুক

দীর্ঘকায় একজন মানুষের ছায়া-

তাকে আজ চেনাই যায় না।

কতদিন পরে এলো; নতুনকে সাথে নিয়ে

পুরানো দিনের হিসেব মিলিয়ে

শান্ত বয়ে চলা নদীর মত।

দৈন্যতা ছিল যান নিত্যসঙ্গী,

আজ সেই নবরূপে-

হেমন্তের শেষের শিশিরবিন্দু হয়ে এলো!

অনাদর আর অবহেলার সাথে অন্তরঙ্গ হয়ে

যে ছিল মুখ বুজে; অভিমান ভরে-

জানতে দেয় নি কাউকে, হাসির আড়ালে।

ভগ্ন মনে, ধীর পায়ে সে এসেছে আবার-

কারো কৃপাপ্রার্থী হয়ে নয়; ক্ষণিকের মোহে

হঠাৎ থমকে যাওয়া সময়ের মত!

সবার মাঝে আনন্দ বিলিয়ে,

যে হারিয়ে গিয়েছিল সবার অজান্তে-

আজ সে আবার এসেছে; একাকী দুয়ারে!

তাকে আজ চেনাই যায় না।

যার মন দুলে উঠতো শরতের কাশফুলে;

আবার কখনও হারিয়ে যেত কুয়াশার চাদরে-

কখনও ছুতে যেত প্রজাপতির পেছনে;

বাতাসে ওড়া রঙ নেবে বলে!

অনেক দিন পার হয়ে গিয়েছে-

নতুন হিসেবের খাতা খোলা হয়েছে বহু আগে।

বড় বেমানান আজ সে সবার কাছে।

আমাদের কাছে আজ সে কিম্ভুত;

আগন্তুক মাত্র!

সুখের সন্ধানে দুঃখকে চিতায় তুলে

নিশ্চিত হয়ে যে নিজেকে দাহ করে দিয়েছিল-

আজ এতদিন পরে সে কেন এলো?

প্রতিশোধ নেবার কিছু নেই;

পাওনা? তাও নেই!

শ্রাদ্ধ সেই কবেই করা হয়ে গেছে-

কেউ মনে রাখতে চায় নি তাকে।

আজ আর ঠাঁই নেই তার-

চলে যেতে বলতে হবে তাকে।

যাও চলে যাও! এসো না আর!

বলা হল না কোন এক অজানা কারণে!

যার কপালে স্থান পায় নি কোন তিলক-

স্পর্শ করেনি যাকে জ্যোৎস্নালোক!

বিধির দেখা যে পায়নি জীবন পথের বাঁকে-

আজ স্থবিরের মত চেয়ে দেখছেই বা কাকে?

যে প্রশ্নের কোন উত্তর হয় না।

মানুষটি এখনও দাঁড়িয়ে আছে-

তাকে এখন আর চেনাই যায় না। 

Author's Notes/Comments: 

24th september 2015

View shawon1982's Full Portfolio