সৌরজগত সংকুচিত হচ্ছে, স্থির, নাকি বিস্তৃত হচ্ছে? [The Question of the Expansion of the Universe: I Think Einstein was Wrong!]

সৃষ্টিকর্তাই এই বিশাল সৌরজগতসহ সব কিছু সৃষ্টি করেছেন। বিজ্ঞানীদের মতে যদি প্রাকৃতিকভাবেই মানুষ সৃষ্টি হয়ে থাকে, তবে মানুষ কেন পারে না রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে ক্লোন নয়, নতুন মানুষ তৈরি করতে?”  


আমার মনে হয় বিজ্ঞানের উচিত সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বকে স্বীকার করা কারণ প্রকৃতি নিজে নিজে এতো নিখুঁতভাবে সৃষ্টি হতে পারে না। যদি সৌরজগত কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া এমনি এমনিই সৃষ্টি হত, তাহলে প্রকৃতিতে অনেক ভুলভ্রান্তি এবং খুঁত থাকত। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়- হয়তো তখন অর্ধাকৃতির, অসম্পূর্ণ অথবা ভাঙা গ্রহ দেখা যেত। কিন্তু এই বিশাল সৌরজগতের নকশার কোথাও কোনও ভুল নেই এবং এটাই প্রমাণ করে যে সৃষ্টিকর্তাই সবকিছু সৃষ্টি করেছেন!     

    

সৌরজগত বাড়ছে, কমছে নাকি স্থির হয়ে আছে সেই আলোচনায় যাবার পূর্বে জেনে নেয়া যাক সৌরজগত সম্পর্কে পূর্বের বিজ্ঞানী এবং দার্শনিকদের বিশ্বাস কেমন ছিল। পূর্বে দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে সৌরজগতের ক্ষয় নেই, এটি স্থির এবং অবিনশ্বর! গ্রীক দার্শনিক এরিস্টটলের [খ্রিষ্টপূর্ব ৪র্থ শতক] মতে পৃথিবী সৌরজগতের একেবারে কেন্দ্রে অবস্থিত এবং চন্দ্র, সূর্য, তারা এবং অন্যান্য গ্রহ পৃথিবীর চারপাশে অনবরত প্রদক্ষিণ করছে। অন্যদিকে জ্যোতির্বিজ্ঞানী টলেমী [খ্রিষ্টপূর্ব ১ম শতক] এরিস্টটলের ধারণার সাথে সহমত পোষণ করার পাশাপাশি নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করেছেন এই বলে যে পৃথিবীর চারপাশে অন্যান্য গ্রহগুলো একটি নির্দিষ্ট চক্র অনুসরণ করার মাধ্যমে আকাশে ভেসে বেড়ায়। তবে এরিস্টটল এবং টলেমীর এসব ধারণা পরবর্তীতে গ্রাহ্যতা হারায়। পঞ্চদশ শতাব্দীতে বিখ্যাত গণিতজ্ঞ এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানী কোপার্নিকাস [১৯শে ফেব্রুয়ারি১৪৭৩ - ২৪শে মে১৫৪৩প্রথম আধুনিক সূর্যকেন্দ্রিক সৌরজগতের মতবাদ প্রদান করেন। তিনি এরিস্টটল ও টলেমীর ধারণাকে অস্বীকার করেন। তার মতে পৃথিবী নয়, সূর্যই সৌরজগতের কেন্দ্রে অবস্থিত। অর্থাৎ সূর্য স্থির এবং পৃথিবীসহ অন্যান্য গ্রহগুলো এর চারপাশে ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু তিনি জীবিতাবস্থায় ওনার তত্ত্ব প্রকাশ করতে পারেননি চার্চের রোষানলে পড়তে হবে এই ভয়ে। তিনি ১৫৪৩ সালে মৃত্যুশয্যায় ওনার তত্ত্বসমূহ বই আকারে প্রকাশ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তার বই “Concerning the Revolutions of the Celestial Orbs” পরবর্তী প্রজন্মের বিজ্ঞানীদের জন্য এক নতুন পথ উন্মোচন করে দেয়। পরবর্তীতে দার্শনিক, কবি, জ্যোতিষী এবং গণিতবিদ জিয়োর্দানো ব্রুনো [১৫৪৮-১৬০০] বলেন যে সৌরজগত বিশাল তবে স্থির। তিনি প্রকাশ্যে টলেমীর তত্ত্বের সাথে একমত পোষণ করেন বলেই তাকে পুড়িয়ে মারা হয়নি, তার পেছনে আরও অনেক কারণ ছিল।

                  

এখন সৌরজগতের বিস্তৃতি, স্থিরতা এবং সংকোচন নিয়ে আলোচনা করা যাক। ১৯১২ সালে মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী ভেস্তো স্লিফার সর্বপ্রথম ইঙ্গিত দেন যে ছায়াপথগুলো প্রচণ্ড গতিতে পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। কিন্তু ১৯১৬ সালে আইনস্টাইনের বিখ্যাত “The General Theory of Relativity” তত্ত্বটিই সারাবিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে। তিনি বলেন যে সৌরজগত স্থির নয়, এটি হয় বিস্তৃত হচ্ছে, না হয় সংকুচিত হচ্ছে- এ দুটোর যে কোনও একটি। অবশ্য যদি তাই হয়, তবুও একটি সঠিক বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্তে আসতে হলে যুগ যুগ ধরে বৈজ্ঞানিক সাধনা ও অনুসন্ধানের পর হয়তো বা এই ধাঁধার সঠিক সমাধান মিলতে পারে!      

 

অন্যদিকে ১৯২৯ সালে আইনস্টাইনের “The General Theory of Relativity”-  উপর ভিত্তি করে অত্যাধুনিক টেলিস্কোপের মাধ্যমে জ্যোতির্বিজ্ঞানী এডউইন হাবল গবেষণা করে দেখেন যে আমাদের ছায়াপথ [Milky Way] থেকে যোজন যোজন দূরে অবস্থিত নক্ষত্রপুঞ্জ বা নীহারিকাসৃষ্ট সুদীর্ঘ জ্যোতির্ময় বেষ্টনী [Galaxies] ধীরে ধীরে দূর থেকে দূরে চলে যাচ্ছে; তাই হাবল এই সিদ্ধান্তে আসেন যে সৌরজগতের কোনও দেয়াল বা সর্বশেষ সীমা বলে কিছু নেই; একটি বেলুনের ভেতরে বাতাস দিলে যেমন করে এটি প্রসারিত হতে থাকে, ঠিক তেমনি এই সৌরজগত প্রসারিত বা বিস্তৃত হচ্ছে। এককথায়, সৌরজগত ক্রমবর্ধনশীল বা বিকাশমান! কিন্তু নক্ষত্রপুঞ্জ আস্তে আস্তে দূরে সরে গেলেই কি এই সিদ্ধান্তে আসা যৌক্তিক হবে যে সৌরজগত বিস্তৃত হচ্ছে? এখানে আরেকটি যুক্তি দেখানো সম্ভব; এমনও তো হতে পারে যে সুদীর্ঘ জ্যোতির্ময় বেষ্টনী ধীরে ধীরে সৌরজগতের দেয়ালের দিকেই অগ্রসর হচ্ছে যে দেয়াল কোথায় এবং কত দূরে আছে তা এখনও পর্যন্ত আমাদের ধারণারও বাইরে!   

   

যাইহোক, সৌরজগতের সংকোচন, বৃদ্ধি অথবা স্থিরতা সম্পর্কে আমার কিছু ধারণা এখানে প্রকাশ করছি। প্রকৃতিতে সবকিছুরই শুরু আছে, শেষও আছে, বিজ্ঞান বলছে যে সৌরজগত নাকি ক্রমেই বাড়ছে, বিস্তৃত হচ্ছে, কিন্তু প্রকৃতিতে কোনও কিছুই চিরতরে বর্ধিষ্ণু নয়, সৌরজগতও নিশ্চয়ই দিন দিন ক্ষয় হচ্ছে! একটি গাছ বড় হয় আবার মারাও যায়; মানুষের ক্ষেত্রেও তাই ঘটে। ঠিক একইভাবে সৌরজগতও হয়তো ধীরে ধীরে ক্ষয়ে যাচ্ছে।

 

পৃথিবীর আকার যেমন আছে তেমনি, এটা বাড়েও না, আবার কমেও না। পুরো সৌরজগতটাকে একটি বাড়ির কক্ষের সাথে তুলনা করা যায়। কক্ষটির আকার যা আছে তাই থাকে, সময়ের সাথে সাথে এটার ভেতরে অনেক পরিবর্তন সাধিত হয় ঠিকই, কিন্তু কক্ষটি কিন্তু একই আকারের থাকে। একইভাবে একটি বিল্ডিং-কে যদি সৌরজগতের সাথে তুলনা করি, তবে বিষয়টি আরও পরিস্কারভাবে বোঝা যাবে। মনে করি বিল্ডিং-এর ভেতরের একেকটি কক্ষ হচ্ছে একেকটি গ্রহ। মানুষ বড় হয় একটি নির্দিষ্ট উচ্চতা পর্যন্ত, তারপর তার মৃত্যু অবধারিত, ঠিক একইভাবে সৌরজগত হয়তো এখনও ধীরে ধীরে বাড়ছে, কিন্তু একটি পর্যায়ে এসে এটা অবশ্যই ক্ষয় বা ধ্বংস হবে। একজন কবি যেমন শুন্য থেকেই কবিতা লিখেন, ঠিক তেমনি সৃষ্টিকর্তাও এই পুরো সৌরজগতটাকে একটি সুন্দর কবিতার মতই সাজিয়েছেন।  

 

তাই যৌক্তিকভাবেই বলা যায় যে সৌরজগত যদি বিল্ডিং-এর মত স্থির হয় তবুও একসময় বিল্ডিংটির মতই এটা ধ্বংস হবে; আর যদি সৌরজগত গাছের মতই বাড়তে থাকে তবুও একটি পর্যায়ে গিয়ে এটার বৃদ্ধি থামবে এবং তখনও এটির ধ্বংস নিশ্চিত। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই যে সৌরজগত তো নিষ্প্রাণ, জড়! যেহেতু এটার প্রাণ নেই, তাহলে এটার বৃদ্ধি হবে কিভাবে?   

 

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই যে সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে তাঁর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন কিন্তু মঙ্গল বুধের মত এতগুলো গ্রহ কেন সৃষ্টি করা হল? সেগুলো কি নিরর্থকভাবেই আকাশে বিদ্যমান নাকি এর অর্থ এই যে দূর দূরান্তের অনাবিষ্কৃত কোনও গ্রহে আমাদের মত মানুষের বসবাস আছে, অথবা আমাদের চেয়েও উচ্চতর জ্ঞানের অধিকারী তারা? একজন পিতা যখন একটি সুদৃশ্য বাগান তৈরি করেন, তখন সেই বাগানের সবজি ও ফল মূল পরিবারের সকল সন্তানদের জন্যই শুধু আহার্য নয়, তিনি কিন্তু কখনও কখনও সেই ফল মূল গরিবদেরকেও দান করেন, কখনও আবার প্রতিবেশীদেরকেও দেন; ঠিক একইভাবে এই যে বিশাল এবং সুবিস্তৃত সৌরজগত, সৃষ্টিকর্তা নিশ্চয়ই এটাকে এমনি, কোনও কারণ ছাড়া সৃষ্টি করে ফেলে রাখেননি, অবশ্যই এর পেছনে দৃঢ় যুক্তি আছে। সেই যুক্তিটি হচ্ছে এই যে সৌরজগতের কোথাও না কোথাও নিঃসন্দেহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে যারা আমাদের মতই তাদের নিজস্ব গ্রহের সুফল ভোগ করছে!      

 

আসলে পৃথিবীতে অনেক রকম ফল আছে, কিন্তু সব ফলই শরীরের জন্য ভালো নয়; এর মধ্যে এমনও বিষাক্ত ফল আছে, যা খেলে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে, একইভাবে সৌরজগতের সকল গ্রহই বসবাসের উপযোগী হবে না এটাই প্রকৃতির নিয়ম। হয়তো কোথাও না কোথাও বসবাসযোগ্য আরও গ্রহ আছে কিন্তু মানুষের নিবিড় অনুসন্ধানই পারে সেইসব গ্রহের সন্ধান পেতে। তবে বলাই বাহুল্য যে এসব অনুসন্ধান অনেক অনেক ব্যয়বহুল এবং কষ্টসাধ্য।   

 

তবে পানির সাথে সৌরজগতের তুলনা করলে আবার অন্য ধরণের বিশ্লেষণ পাওয়া যায়। পানি কিন্তু ক্ষয় হচ্ছে না; দূষিত হয় ঠিকই, সেই দূষণ আবার দূরও করা যায়; কিন্তু পানি ধীরে ধীরে ধ্বংস হচ্ছে না! বাস্প হচ্ছে, আকাশে মেঘ হয়ে ভাসছে, আবার বৃষ্টি হয়ে ঝরছে! ঠিক একইভাবে পানির মতই হয়তোবা সৌরজগতও ধীরে ধীরে নিজের রূপ নিজেই পাল্টাচ্ছে কিন্তু ক্ষয় হচ্ছে না!    

এবার সৌরজগতের বৃদ্ধি, সংকোচন এবং স্থিরতাকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করা যাক। পবিত্র কোরানের সূরা আজ-জারিয়াতের আয়াত নং ৫১:৪৭ [Waalssamaa banaynaha bi-aydin wa-inna lamoosiAAoona] এর বঙ্গানুবাদ একেক স্থানে একেক রকম হওয়ায় আয়াতটির প্রকৃত অর্থ বুঝতে অনেকেরই বেগ পেতে হয়। উদাহরণস্বরূপ:  “আর আমি হাতসমূহ দ্বারা আকাশ নির্মাণ করেছি এবং নিশ্চয় আমি শক্তিশালী, আমি নিজ হাত দ্বারা আসমান সৃষ্টি করেছি আর আমি অবশ্যই মহা প্রশস্তকারী, আমি আকাশ নির্মাণ করেছি আমার ক্ষমতা বলে এবং আমি অবশ্যই মহাসম্প্রসারণকারী, আমি স্বীয় ক্ষমতাবলে আকাশ নির্মাণ করেছি এবং আমি অবশ্যই ব্যাপক ক্ষমতাশালী, আসমানকে আমি নিজের ক্ষমতায় বানিয়েছি এবং সে শক্তি আমার আছে”-

[http://www.e-quran.com/language/bangla/qp522.html],

[http://www.hadithbd.com/read-alquran.php?suraNo=51], [http://muktirpath.com/quran/ayat_detail/51/47],

[http://www.hadithbd.com/share-quran.php?suraNo=51&aya=47], [http://www.islamerbani.net/archives/346],

[http://bangla-quran-hadith.blogspot.com/2012/06/blog-post_3995.html],

[http://shopner-manush1.blogspot.com/2013/10/blog-post_4873.html], [http://ourholyquranbangla.blogspot.com/2012/04/blog-post_1423.html], [http://www.hadithbd.net/tafsir.php?pageNum_RsTafsir=4&suraNo=51]


অন্যদিকে একই আয়াতের ইংরেজি অনুবাদের ক্ষেত্রেও ভিন্নতা লক্ষণীয়:AND IT IS We who have built the universe with [Our creative] power; and, verily, it is We who are steadily expanding it.”; “We have built the heaven with might, and We it is Who make the vast extent (thereof).”; “And the heaven, We raised it high with power, and most surely We are the makers of things ample.”; “With power and skill did We construct the Firmament: for it is We Who create the vastness of pace.”; “We built the universe with Our might, giving it its vast expanse.”; “And We constructed the universe using matter, and We will expand it.”; “We built the heavens with Our power and made them vast.”; “And the heaven! We have built it with might, and verily We are powerful.”; “As for heaven — We built it with great power and gave it its vast expanse.”; “And the heaven, We have constructed it mightily, and it is surely We Who have vast power, and keep expanding it.”; “We have built the sky with might, and indeed it is We who are its expanders” ইত্যাদি [http://www.islamawakened.com/quran/51/47/]। উল্লেখ্য এখানে বেশীরভাগ লাইনে ‘heavens’ বলতে স্বর্গকে নয়, সৌরজগতকে বোঝাচ্ছে। যেহেতু আয়াতটির সঠিক অনুবাদ নিয়ে কিছুটা মতভেদ রয়েছে, সেহেতু সৌরজগতের বিস্তৃতির সাথে আয়াতটির অর্থগত যথার্থতা নিয়ে এখনই কোনও উপসংহারে আসাটা মনে হয় সমীচীন হবে না।       

অন্যদিকে অনেক খ্রিস্টানরাই বিশ্বাস করেন যে বাইবেলে নাকি সৌরজগতের বিস্তৃতি সম্পর্কে ধারণা বিদ্যমান। তারা বলেন যে বাইবেলে [New Living Translation] ৪২: এর মতে- “God, the LORD, created the heavens and stretched them out. He created the earth and everything in it. He gives breath to everyone, life to everyone who walks the earth.” কিন্তু ‘New International Version’ অনুযায়ী একটু ভিন্ন- “This is what God the LORD says-- the Creator of the heavens, who stretches them out, who spreads out the earth with all that springs from it, who gives breath to its people, and life to those who walk on it:”। পূর্বের সকল ভার্সনগুলোতে “stretched” কিন্তু পরের ভার্সনে “stretches” [http://biblehub.com/isaiah/42-5.htm] হওয়াতে পাঠকগণের আসল অর্থটা বুঝতে একটু সমস্যাই হয়। শব্দটি past-এ এক অর্থ কিন্তু present-এ পুরো অর্থটাই পরিবর্তন হয়ে যায়! “Stretched” বললে বোঝায় যে সৌরজগত যতটুকু বিস্তার করা প্রয়োজন ছিল, সৃষ্টিকর্তা ততটুকুই করেছেন; অন্যদিকে “stretches” বললে বোঝায় যে সৃষ্টিকর্তা এখনও সৌরজগতের বিস্তার বা বৃদ্ধি ঘটাচ্ছেন বা দিন দিন সৌরজগত বিস্তৃত হচ্ছে।           

 

যদিও আমি বিজ্ঞানী নই, একজন লেখক মাত্র, তবুও উপরোল্লিখিত যুক্তিতর্কের পরে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে এটাই মন হয় যে যদি পবিত্র কোরানের সূরা আজ-জারিয়াতের আয়াত নং ৫১:৪৭-এর মানে এটা হয়- AND IT IS We who have built the universe with [Our creative] power; and, verily, it is We who are steadily expanding it” তাহলে আমাকে একজন মুসলিম হিসেবে বিশ্বাস করতেই হবে যে সৌরজগত বিস্তৃত হচ্ছে; কিন্তু যদি আয়াতটির সঠিক অনুবাদ এরকম হয়- “We built the heavens with Our power and made them vast.”; “And the heaven! We have built it with might, and verily We are powerful” তাহলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই যে সৌরজগত বাড়ছে না আবার কমছেও না; এটি স্থির হয়েই আছে কারণ সৌরজগতে অন্যান্য গ্রহ, নক্ষত্র ইত্যাদি কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বড় হচ্ছে না; তাদের আকার যা ছিল তাই আছে; বরং সময়ের সাথে সাথে সেগুলোর ক্ষয় হচ্ছে। যেমন পৃথিবীর আকৃতি কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে না। তাই যৌক্তিকভাবেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায় যে সৌরজগত স্থির। তবে আমার কথাই যে সত্য তা বলার ধৃষ্টতা আমার নেই; এটা আমার বিশ্বাস মাত্র। তাছাড়া আমি Nobel Prize পাওয়ার জন্যও এমন একটি সমাধানের কথা বলছি না! বলাই বাহুল্য যে এ কথা বলে আমি আইনস্টাইনের মত বিজ্ঞানীর সাথে দ্বিমত পোষণ করছি! আমি এটাও বিশ্বাস করি যে একসময় সৌরজগতের ধ্বংস নিশ্চিত যেটিকে বেশীরভাগ ধর্মই কেয়ামতবলে!               

View kingofwords's Full Portfolio