শাশ্বত প্রাচীর

জন্মলগ্ন থেকেই প্রতিষ্ঠাকাল বিস্মৃত হয়ে আছে দেয়ালটি

জ্ঞাত থাকাটাই জাতিস্বর পাপ-পূন্যের মানদন্ডে মূল্যায়িত

তবুও উচ্ছ্বল ঝর্ণার মত অপেক্ষায় থাকে

কেউ দেখে না, মুখ ঘুরিয়ে রাখে ফিঙে বাদুড় শ্বাপদেরাও।

পৌরাণিক কৌটায় অবরুদ্ধ করে রাখা আছে আর্তনাদটুকু

অনধিকার চর্চা করতে চায় দুর্বৃত্তের মত শৃঙ্খল ভেঙ্গে-

গলা চিরে যেটুকু বেরিয়ে আসে তাও প্রতিধ্বনিত হয়

অনূঢ়া আক্রোশে ফেটে পড়ে-

নিজেই চৌচির হয়ে জীবানাঞ্জলি দেয় মৃতার্ঘ্য চিতায়!

কেউ কর্ণপাত করে না- কেউ দেখে না-

যাবার সময় পানের পিক ফেলে ভালোবাসার অবহেলায়।

একটা ফড়িঙের ডানায় কিছু আবির মেখে উড়িয়ে দিয়েছিলাম

তাও দেখে ফেললো রংজ্বলা কাপড়ের প্রায় উলঙ্গ কাকতাড়ুয়াটি

ভ্রুকুটি করলো, যেন ভস্ম করে দিতে চাইলো আমাকে-

কেন? জানা হল না! কেউ যে কথা বলে না-

আমার ইচ্ছেগুলোর ভ্রূণ অবয়ব পেল না

ডিঙ্গাতে পারলোনা সেই বিজল্প শাশ্বত জারজ দেয়ালটিকে।

অঙ্কুরেই বিনষ্ট ছিল- ছড়ানো ছিল দিকভ্রষ্ট দিবসের শুক্রাণু-

অপলক অনিমেষে আড়াল করে রাখে মন্ত্রসিদ্ধ উৎকীর্ণ সংস্কার।

তবুও ভালোবেসে যায় নিতান্ত নিগূঢ় অবহেলায়-

বিস্মৃতির আড়াল থেকে উঁকি দেয় ধূসর কল্পলোকের বেলা অবেলায়...

Author's Notes/Comments: 

3rd march 2017

View shawon1982's Full Portfolio